Friday, February 19, 2016

মিছিলের সেই আমাদের কইন্যা,যাহার হাতে মশাল তাহারে জ্যান্ত পোড়ানোর হুমকি দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আক্রমণ,দ্যাশে কি সরকার নাই?মুনুষ্যি নেই? বিশ্ববিদ্যালয় বাবরি মসজিদ নয়। বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণমন্দিরও নয়। সারা দ্যাশে ছাত্র যুব সমাজ জানান দিতাছে। বিষহীন সাপ তেড়ে মেরে ডান্ডা ঠান্ডা করার কাব্য কইরাছেন সুকুমার রায়! দংশিছে যে বিষধর সর্পকূল তাহার কি ব্যবস্থা,তিনি লেখেন নাই! তাইলে কি বাঙালী মেয়েদের জ্যান্ত পোড়ানোর হুমকি মুখ বুজে সহ্যি কইরাই মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন? দল মত নির্বিশেষ ধোলাইয়ের পুণ্যকর্মের বিরুদ্ধে 21 শে ফেব্রুয়ারি পথে নামবেন কারা? আফজলকে শহীদ বানাইছে যাহারা ,তাহাদের সহিত নিযমিত খাট ভাঙ্গা আর ছেলে মেয়েগুলান কাশ্মীর উচ্চারণ করলেই দেশদ্রোহী,এই মত্স ন্যায়ের মগের মল্লুকে মানুষ আছেন কয়জনা? ভারতজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তাপ! 21 শে ফেব্রুয়ারি আবার মাতৃভাষা দিবস,ঢাকার সেই রক্তাক্ত দিনগুলি যাহারা ভোলেন নাই,তাহারে পথে নামিবেন। ধোলাই বিশেষজ্ঞরা আটকাইতে পারিলে আটকান,রাস্তায় নামতে পারলে নামুল এবং ঔ ছাপান্ন ইন্চির সীনা ফুলাইয়া একবার দেখিয়া লউন,বাঙালি সত্যিই কি মরিযাছে,আপন মাইয়াক


মিছিলের সেই আমাদের কইন্যা,যাহার হাতে মশাল তাহারে জ্যান্ত পোড়ানোর হুমকি দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আক্রমণ,দ্যাশে কি সরকার নাই?মুনুষ্যি নেই?


বিশ্ববিদ্যালয় বাবরি মসজিদ নয়।

বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণমন্দিরও নয়।

সারা দ্যাশে ছাত্র যুব সমাজ জানান দিতাছে।


বিষহীন সাপ তেড়ে মেরে ডান্ডা ঠান্ডা করার কাব্য কইরাছেন সুকুমার রায়!


দংশিছে যে বিষধর সর্পকূল তাহার কি ব্যবস্থা,তিনি লেখেন নাই!


তাইলে কি বাঙালী মেয়েদের জ্যান্ত পোড়ানোর হুমকি মুখ বুজে সহ্যি কইরাই মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন?


দল মত নির্বিশেষ ধোলাইয়ের পুণ্যকর্মের বিরুদ্ধে 21 শে ফেব্রুয়ারি পথে নামবেন কারা?


আফজলকে শহীদ বানাইছে যাহারা ,তাহাদের সহিত নিযমিত খাট ভাঙ্গা আর ছেলে মেয়েগুলান কাশ্মীর উচ্চারণ করলেই দেশদ্রোহী,এই মত্স ন্যায়ের মগের মল্লুকে মানুষ আছেন কয়জনা?


ভারতজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তাপ!

21 শে ফেব্রুয়ারি আবার মাতৃভাষা দিবস,ঢাকার সেই রক্তাক্ত দিনগুলি যাহারা ভোলেন নাই,তাহারে পথে নামিবেন।


ধোলাই বিশেষজ্ঞরা আটকাইতে পারিলে আটকান,রাস্তায় নামতে পারলে নামুল এবং ঔ ছাপান্ন ইন্চির সীনা ফুলাইয়া একবার দেখিয়া লউন,বাঙালি সত্যিই কি মরিযাছে,আপন মাইয়াকে জ্যান্ত পোড়ানোর হুমকি,বিশ্ববিদ্যালয বন্ধের যাবতীয় উপক্রম সত্বেও সে কি রবীন্দ্র সঙীত গাহিতে গাহিতে বেবাক ভূল মাইরা যাইবে সেই অমোঘ গান-আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি অথবা আ মরি মোর বাংলা ভাষা?


পলাশ বিশ্বাস

মিছিলের সেই আমাদের কইন্যা,তৃণা ডে সরকার যার নাম,যাহার হাতে মশাল তাহারে জ্যান্ত পোড়ানোর হুমকি দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আক্রমণ,দ্যাশে কি সরকার নাই?মুনুষ্যি নেই?


বিশ্ববিদ্যালয় কি জিনিষ,সত্তরের দশকে মাতৃভাষার জন্য বাঙালির সেই ঐতিহাসিক মহাসংগ্রাম বুঝিয়ে দিয়াছে।সারা বিশ্ব বুঝিয়াছে কিন্তু রামরাজত্বের ধ্বজা ধারিরা ব্যাদের নামে রামায়ণ মহাভারত এবং নানাবিধ পুরাণের প্রামাণিকতায় এতটাই উদ্বুদ্ধ যে তাহারা নূতন ইতিহাস ব্যাদের আলোয় রচতাছেন,তারই পরিণাম ভারত আজ মহাভারত,দশ দিগন্ত কুরুক্ষেত্র,তাহারা বুঝেলেন না।


তবু দেশদ্রোহিতার অভিযোগ প্রমামিত হইবার আগে,বিচার হইবারও পূর্বে বাংলার ছাত্র ছাত্রীদের ধোলাই দেওয়ার পুণ্যকর্মের অনুষ্ঠান আয়োজিত করার কথা ভাবিলে এই বসন্তে এমত পদ্ম বিপর্যয় ঘটেনা।


ভাগ্যি ভালো,এখনো দমদম দাওয়ায়ের যুগ ফেরে নাই।


একতাবদ্ধ কলকাতা যেভাবে আপন সন্তানদের পাশে দাঁড়িয়ে ক্ষমতাদলের অনুপস্থিতিতেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আদগের দিনের হনু উত্পাত প্রতিহত করিয়াছে,তাহাতে বোঝা যাইতেছে গোপন সমঝৌতায় মুসলমানদের টুপি পরাইয়া,খযরাত দিয়া,কথায় কথায চাকরি,অনুদান ইত্যাদি,পিপিপি উন্নয়নের ফানুস উড়াইয়া শাসকের ক্ষমতা জনগণের জোট সত্বেও বাঁচিলেও বাঁচিতে পারে কিন্তু যৌবন সুনামিতে পদ্ম ফসলের সমুহ সর্বনাশ।


কোলকাতায় আবার পার্টিশানের জন্য ডাইরেক্ট একশানের যাহারা উদ্যোক্তা তাহারা রিএকশান নিয়া ভাবিলে বর্গী বাহিনীর সুবিধাই হইত।


এহন আসন ত একটাও হইল না,ধর্মোন্মাদী মেরুকরণের সাধ ও পুরিবে না।


সাদা টুপি সম্পরদায়  যদি হিজাব, আম্মা, দোয়া, সালাম,নামাজের ধর্মনিরপেক্ষার অন্ধকার হইতে ফিরিয়া ঘুইরা দাঁড়ায় এই বাংলার মাডিতেই দেশভাগের যুদ্ধঅপরাধীদের বিচার শুরু হবে।ফাঁসিতে কাহারা ঝলিবেন,কাহারা বাঁচিবেল কহনা মুশকিল হ্যায়।


বিশ্ববিদ্যালয় বাবরি মসজিদ নয়।স্বর্ণমন্দিরও নয়।

সারা দ্যাশে ছাত্র যুব সমাজ জানান দিতাছে।


জেএনউ বন্ধ করার,যাদবপুরে মিছিলে শামিল ছাত্রীকে জ্যানত পুড়িয়ে মারার হুমকি যাহারা দিয়াছেন,সীমান্তের ওপার রাসি রাশি দড়িতে ঝূলতে থাকা যুদ্ধঅপরাধীদের বিচারতাহারা দ্যাখতাছেন না এবং এতদদ্বারা তাহারা সিধা বাংলাদেশ হইতে পরিবারের প্রধানদের জইন্যে রাসি রাশি দড়ি আমদানি করিলেন।


একদা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বাবরি বিধ্বংস ও আপারেশন ব্লু স্টারের কারসাজির বহু আগে ধ্বংস করার প্রচেষ্টার নির্মম পরিণাম পাকিস্তানের ফৌজি হুকূমত হাড়ে হাড়ে পূর্ব পাকিস্তান ক্যালাইয়া যাওনে বুঝচে।


পাকিস্তানি সৈন্য বাহিনী ট্যান্কের গোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশদ্রোহীদের উত্খাত করতে চেয়েছিল শুধু নয়,ছাত্র ছাত্রীদের,শিক্ষক,কবি,লেখক সাংবাদিক,শিল্পী মাত্রকেই জ্যান্ত কবর দিয়াছিলেন।


শুধু জ্যান্ত জ্বালানিই হয়নি  বাংলার মাইয়াগুলান সেদিন,ধর্ষণ সুনামিতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম পাকিস্তান অক্ষত রাখার উপক্রমের বলিও তাহারা হইছেন।রায়ফলের বেয়নেটে নিস্পাপ শিশুদের বিঁধে হাওয়ায় ফৌজী সন্ত্রাসের সেই ইতিহাস বাঙালি ভোলে নাই।


ভারতবর্ষে ফ্যাসিস্ট হিন্দু রাষ্ট্র এখন সেই পাকিস্তানী উন্মাদ ফৌজি শাসনের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি কইরতে চাইছেন হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের দলিতের জন্য ন্যায়ের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ জনগণের আন্দোলনের বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দলিত পদ্মবাহিনী ছত্রভঙ্গের মহাসঙকট এড়াতে

গতকাল দিল্লীর রাজপথে হাজার পঁচিশেক ছাত্র যুবদের প্রতিবাদে যাহাদের টনক নড়ে নাই।


চেন্নাই থেকে মহারাষ্ট্র গুজরাত রাজস্থানের গোবলয়ে চানা আন্দোলনে যাহাদের হুঁশ হইল না,রেল অবরোধও শুরু হইছে,সেই বেবোধদের ভয়ে যারা উটপাখি,ভবিষ্যতের ইচিহাস তাহাদের মাফ করিবে না।


21 শে ফেব্রুয়ারি আবার মাতৃভাষা দিবস,ঢাকার সেই রক্তাক্ত দিনগুলি যাহারা ভোলেন নাই,তাহারে পথে নামিবেন।


ধোলাই বিশেষজ্ঞরা আটকাইতে পারিলে আটকান,রাস্তায় নামতে পারলে নামুল এবং ঔ ছাপান্ন ইন্চির সীনা ফুলাইয়া একবার দেখিয়া লউন,বাঙালি সত্যিই কি মরিযাছে,আপন মাইয়াকে জ্যান্ত পোড়ানোর হুমকি,বিশ্ববিদ্যালয বন্ধের যাবতীয় উপক্রম সত্বেও সে কি রবীন্দ্র সঙীত গাহিতে গাহিতে বেবাক ভূল মাইরা যাইবে সেই অমোঘ গান-আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি অথবা আ মরি মোর বাংলা ভাষা?


মন্দাক্রান্তা যেদিন অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে প্রথম বাঙালির শিরদাঁড়া সোজা করার সাহস দেখিয়েছিল,আমার ঔ প্রিয় কবিকে আমি ভালোবাসার মুখ বলেছিলাম।


আজ লিখতে হচ্ছে বসন্ত হোক না হোক্,বসন্ত সমাগত দ্বারে।


আজ লিখতে হচ্ছে সুড়ুঙের মুখে নন্দিনী মশাল হাতে প্রতীক্ষা করেনি কারো,সে মিছিলের মুখ হয়ে গেল।


গর্তে লুকিয়েছিল যে বিষধর পোকা মাকড়,প্দম ফুলে তাহাদের বসবাস,মনুষত্বকে দংশিছে সেই সর্পকূল।


গানের সুরে হোক কলরব আবার ফিরল আনন্দ নগরীতে।

আমাদের আছে গান,গানেই আমাদের প্রাণ।

গান আমদের অক্ষত যৌবন।

সেই গান আজ হোক কলরব।

মিছিলের শহরে মিছিল আসিছে ফিরে।

পদাতিকরা আবার হইতাছে সাবধান।


জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) ছাত্র সংসদের সভাপতি কানহাইয়া কুমারের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উত্তাল ছাত্রবিক্ষোভে প্রকম্পিত হয়েছে ক্যাম্পাস থেকে  রাজপথ। উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হুমকি দিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করা হলে তিনি পদত্যাগ করবেন। এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি কংগ্রেসের সমর্থন থাকলেও বিজেপি এবং তাদের ছাত্র সংগঠনের তরফে আন্দোলন দমনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

ছাত্রদের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন শিক্ষকরাও। বৃহস্পতিবার ভারতের অন্তত ১০টি শহরের রাজপথে বিক্ষোভে অংশ নেন ছাত্ররা। বেঙ্গালুরু, জয়পুর ও চেন্নাইয়ের বিক্ষোভ থেকে গ্রেফতারকৃত ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারের দ্রুত মুক্তির দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভের এই বাস্তবতায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, দিল্লির এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়িয়ে এ আন্দোলন এখন পুরো ভারতজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

রাজধানী দিল্লিসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে বাম ছাত্রদের সংগঠনগুলোর বিক্ষোভে বাধা দেয় ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী বিজেপি'র ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। 'দেশবিরোধী' আখ্যা দিয়ে তাদের ওপর হামলে পড়ে বিজেপি সমর্থকরা।

জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে এমন প্রতিক্রিয়া দেখায় কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার কানহাইয়া কুমারের সমর্থনে বড় রকমের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয় কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেইউ)। এসএফআই, ডিএসও-সহ বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর ডাকে এ বিক্ষোভে শামিল হন শিক্ষার্থীরা। এর বিপরীতে উত্তাল ছাত্রবিক্ষোভে কথিত 'দেশবিরোধী স্লোগানের' প্রতিবাদে পাল্টা বিক্ষোভ করে বিজেপি'র ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। তারা জেএনইউ ইস্যুতে বামদের লাগানো পোস্টার, ব্যানার ভাঙচুর করে।

জেএনইউ ইস্যুতে বামদের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় কংগ্রেস। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বামদের সঙ্গে মিলে বিজেপিকে প্রতিরোধ করে কংগ্রেস সমর্থকরা। এই ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন কংগ্রেসের সহসভাপতি রাহুল গান্ধী।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা দেশবিরোধী স্লোগান দিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠায় এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন চেয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এ বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাতে হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে। রাজ্যের গভর্নর কেশরীনাথ ত্রিপাঠিও এ ব্যাপারে রিপোর্ট চেয়েছেন।

জেইউ'তে কথিত দেশবিরোধী তৎপরতার অভিযোগ উঠলেও যাদবপুরের ভিসি সুরঞ্জন দাস সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন না এবং পুলিশ ডেকে তিনি ক্যাম্পাস শাসন করবেন না। সে রকম কিছু হলে পদত্যাগেরও হুমকি দিয়েছেন তিনি।

ভিসি সুরঞ্জন দাস বলেন, 'দরজা বন্ধ করে, ফোর্স দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করা যায় না। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন হলো মুক্ত চিন্তার জায়গা।' বিচ্ছিন্নতাবাদী বা দেশবিরোধী স্লোগানের নিন্দা করলেও গণতন্ত্রে সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন সুরঞ্জন দাস।

জেএনইউতে আফজাল গুরুর পক্ষে স্লোগান উঠার একদিন পর বুধবার এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কাশ্মির, মনিপুর ও নাগাল্যান্ডের স্বাধীনতার দাবিতে পোস্টার পাওয়া গেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে এ কথা জানানো হয়। হিন্দিতে লেখা এক পোস্টারে বলা হয়েছে, 'আমরা স্বাধীনতা চাই। কাশ্মিরের স্বাধীনতা, মনিপুরের স্বাধীনতা, নাগাল্যান্ডের স্বাধীনতা।' তবে ক্যাম্পাসের ছাত্রসংগঠনগুলো এসব পোস্টার তাদের নয় বলে দাবি করেছে।

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি'র রাজ্য সম্পাদক সুবীর হালদারের দাবি, 'আমাদের কাছে প্রমাণ আছে যাদবপুরের নির্ঝর, প্রিয়স্মিতা এবং অরুমিতা রাষ্ট্রদ্রোহী এবং পাকিস্তানের দালাল। এরা লাহোরে গিয়ে ভারতের বিরোধিতা করতে পারে। আমরা অবিলম্বে এদের দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।' সুবীর হালদারের দাবি, 'রাস্তায় দাঁড়িয়ে ঋতব্রত (সিপিআই-এম-এর এমপি) এই দেশদ্রোহীদের সুরে সুর মিলিয়ে মিছিল করেছে। আমরা ওর উপরে নজর রাখছি। যদি এর পরেও তাকে এ ধরনের মিছিলে দেখা যায় তাহলে এফআইআর করে গ্রেফতারের দাবি তুলব।'

রাজ্য বিজেপি'র সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাহুল সিনহার দাবি, দেশের শত্রুদের সাহায্য করার জন্যই কমিউনিস্টদের জন্ম। তিনি বলেন, 'চরবৃত্তি করাই ওদের কাজ। রাষ্ট্র ভাগের যে কোনও ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে বিজেপি তৈরি আছে। রাস্তায় নেমেই সাধারণ মানুষ ধোলাই দিয়ে রাষ্ট্রবিরোধিতার জবাব দেবে।'

বুধবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে জেএনইউ ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমারকে কিছু আইনজীবী মারধর করায় তাকে সমর্থন করে একে 'পুণ্যের কাজ' বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা।

এদিকে, জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়েও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানিয়ে দিয়েছেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হবেন না। উচ্চ পর্যায়ের ওই প্যানেলে মাত্র তিনজনের পরিবর্তে আরও ছাত্র ও শিক্ষকদের প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

জেএনইউ'র ভাইস চ্যান্সেলর নিরাপত্তার কারণে ছাত্রদের মিছিল না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন ছাত্ররা।


--
Pl see my blogs;


Feel free -- and I request you -- to forward this newsletter to your lists and friends!

No comments:

Post a Comment