Monday, September 29, 2014

ছয় দফা ভুলি নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই। জয় বাংলা জয় জনতা


গণজাগরণ মঞ্চের আজকের মশাল মিছিল।

ছয় দফা ভুলি নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই।

জয় বাংলা
জয় জনতা
ঢাকা মহানগরের ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৮টির জমি ও শ্রেণিকক্ষ বেদখল হয়ে গেছে। ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে দখল হওয়া এসব জমির পরিমাণ ২৪০ দশমিক ৯৫ শতাংশ বা প্রায় সাড়ে সাত বিঘা।
দখল করে ছাগলের স্থায়ী হাট বসানোয় একটি বিদ্যালয় বন্ধই হয়ে গেছে। একটি বিদ্যালয় বিলীন হওয়ার পথে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে ভবন, দোকান নির্মাণ বা বস্তি বানিয়ে ভাড়া দিচ্ছেন স্থানীয় লোকজন। আবার কোনো বিদ্যালয়ে কক্ষ বানিয়ে বসবাস ও কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। একটিতে বানানো হয়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি রাখার স্থান (গ্যারেজ)। 
ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের তৈরি একটি প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। গত মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়। এতে দখলের পাশাপাশি এ নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা ও উচ্ছেদে গৃহীত পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরা হয়েছে।
'গরিবের বিদ্যালয়' হিসেবে পরিচিত এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারের নজরদারিও যে পুরোপুরি রয়েছে, তা বলা যাবে না। প্রতিবেদনে উল্লিখিত জায়গায় বেদখল হওয়া বিদ্যালয়গুলো গত চার দিনে ঘুরে দেখা গেছে নানা সমস্যার চিত্র।
৩৪২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৮টির জমি বেদখলে চলে গেলেও বাকিগুলোর অবস্থাও ভালো নয়।


স্কুল ভেঙে দেয়ায় আমাদের মন ভেঙে গেছে। আমরা রাস্তায় পরীক্ষা দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন- আমরা স্কুল ফিরে চাই, রাস্তায় পরীক্ষা দিতে চাই না।'

খোলা আকাশের নিচে ফুটপাতে বসে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থী মরিয়ম উর্মি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে এসে এভাবেই স্কুল ফিরিয়ে দেয়ার আকুতি জানালেন। 

মঙ্গলবার রাজধানীর বেইলী রোডে সামাজিক শিক্ষাকেন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভেঙে ফেলার প্রতিবাদে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক এবং ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ মানববন্ধন করেছে রাজপথে। 

ঈদের ছুটির আগে গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে স্কুলটি ভাল থাকলেও ছুটি শেষে গত ৭ আগস্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এসে দেখেন তাদের প্রতিষ্ঠানটি মাটির সঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

স্কুলটি ভাঙ্গার প্রতিবাদে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা মহানগর সংসদ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদী মানববন্ধন পালন করে, সে মানববন্ধনেই অংশ নেন ওই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

১৯৬২ সালে গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি ১৯৭৩ সালে জাতীয়করণ হয়। কিন্তু সম্প্রতি গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশন স্কুলটি স্থানান্তরে হাইকোর্টে মামলা করে। 

জাতীয়করণ হলে স্কুলের সম্পদ সরকারের অধিকারে চলে গেলেও অভিযোগ রয়েছে, এ তথ্যটি গোপন করে গার্লস গাইড। এতে স্কুলটি অন্য স্কুলের সঙ্গে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেয় আদালত।

ওই রায় নিয়ে নিজেরাই স্কুলটি ভেঙে ফেলে, যা বেআইনি বলে অভিযোগ করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক রওশন আরা বেগম।

তিনি বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াই সিলগালা করা হয়েছে বিদ্যালয়ের সকল ডকুমেন্ট। তিনি অবিলম্বে তাদের সিলগালা করা সকল সম্পত্তি ও কাগজ পত্র ফেরৎ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

পুরাতন এই স্কুলটিতে গরীব শিক্ষার্থীরাই পড়াশোনা করে। এই বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই গরিব, দিনমজুর, রিক্সাওয়ালা, ড্রাইভার, ঝাড়ুদার, বস্তিবাসী মেহনতি মানুষের সন্তান।

সকাল ১১টা থেকে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষা স্কুলের সামনে ফুটপাতে দিয়ে এসে মানববন্ধনে আসা পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী নূর মোহাম্মদ শান্ত ও সোহানুর রহমান বলেন, স্কুলটি ভেঙে ফেলায় খুব খারাপ লাগছে। আমরা স্কুলটি ফিরে চাই।

ঢাকা মহানগর ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি বিধান বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সুমন সেন গুপ্তের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক লাকী আক্তার, স্কুলের গর্ভনিং বডি সভাপতি মোর্শেদা বানু এবং স্কুলের শিক্ষার্থীবৃন্দ। 

সরকার যখন প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছে তখন বেইলী রোডে সাড়ে ৮ কোটি টাকার জমির লোভে শিশুদের স্কুলটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

তারা অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য বিকল্প ক্লাস রুমের ব্যবস্থা এবং বিদ্যালয় ভবনটি দ্রুততম সময়ে পুনঃনির্মাণ করার দাবি জানান। 

অন্যদিকে এই স্কুলের দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে সকালে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন রমনা আইডিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকগণ।

এদিকে স্কুলের পক্ষে আপিল করা হলে মঙ্গলবার আপিল বিভাগ সামাজিক শিক্ষা কেন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অন্যস্থানে স্থানান্তর করার হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেননি। এ বিষয়ে শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি। শুনানীর তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।



বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এর বিবৃতি















No comments:

Post a Comment